লেখাঃ অজন্তা রেজওয়ানা মির্জা
জি, সম্ভব। কিন্তু তারপর এটাও বলবো, যে স্মার্টফোন দিয়ে অনেকদিন ধরে লেখালেখি করা আপনার জন্য একটু কষ্টকর হতে পারে।
আমরা তো আমাদের স্মার্টফোন দিয়ে অনেক কিছুই করি। ইমেইল করি, ফেসবুকে বড় বড় স্ট্যাটাস আপডেট দেই, মানুষের পোস্টে কমেন্ট করি, গুগলে অনেককিছু সার্চ করি, মেসেজ পাঠাই। অর্থাৎ ফোন দিয়ে লেখালেখির অভ্যাস আমাদের সবারই মোটামুটি আছে।
কন্টেন্ট রাইটিং মানে কিন্তু প্রধাণত লেখালিখি করা। ক্লায়েন্ট আপনাকে কোন একটা টপিক বা টাইটেল দিয়ে দিলে আপনি সেটার উপর রিসার্চ করে লিখবেন। তাই বলা যায়, হ্যাঁ, লেখালেখির কাজ আপনার স্মার্ট ফোনে করা সম্ভব। একটা উইন্ডোতে গুগল, আরেকটা উইন্ডোতে গুগল ডক খুলে আপনি লেখার কাজ শুরু করতে পারেন। মাইক্রোসফট-এর এপও ইন্সটল করা যায়।
এন্ড্রইড ফোনেই এখন গ্রামারলি ইন্সটল করা যায়, তাই আপনি এডিটিং বা প্ল্যাজারিজমও ফোনে চেক করতে পারবেন। ChatGPT ও এখন স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যায় … 🙂
আপনি যদি লোকাল ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করে থাকেন, তাহলে শুরুর দিকে আপনি আপনার স্মার্টফোন দিয়েই কাজে এপ্লাই, মেসেজ ও লেখার কাজ করতে পারবেন।
কিছু কমন কাজ, যেমন সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য লেখা, আর্টিক্যাল, স্ক্রিপ্ট লেখা, সবকিছুই আপনি ফোন দিয়ে শুরু করতে পারেন। এখন প্রায় সব সফটওয়ারের এপ/মোবাইল ভার্সন আছে, আপনার কাজকে আরও সহজ করে দেয়ার জন্য।
তাহলে কষ্টকর বলছি কেন?
– আসলে ল্যাপটপে টাইপ করা অনেক বেশি সহজ, আর অনেক বেশি দ্রুত করা যায়। যে স্পিডে আপনি কম্পিউটারে লিখতে পারবেন, সেটা ফোনে আনা একটু সময়ের ব্যাপার।
– পাশাপাশি দুটা স্ক্রিন রেখে তাড়াতাড়ি কাজ করা যায়। সেটা আপনার জন্য অনেক সহজ হবে।
– সিভি (CV) বানানো, বা আপওয়ার্ক, ফাইভারে একাউন্ট করা একটা কম্পিউটার বা ল্যাপটপে অনেক বেশি সহজ হবে।
– যখন অনেক বড় কোন আর্টিক্যাল বা ইবুক (৩০,০০০ – ৫০,০০০ শব্দের, বা আরও বড়) লিখতে যাবেন, সেটা কম্পিউটারে লিখলে অনেক সহজ হবে।
তাই শেষে বলতে চাই, আপনি অবশ্যই স্মার্টফোনে আপনার কন্টেন্ট রাইটিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন। এটাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কিছুদিন পরে গিয়ে একটা বেসিক কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ইনভেস্ট করলে আপনার জন্যেই সবকিছু আরও সহজ হয়ে যাবে।